মিক্সড ড্রাই ফুডস কি?
নাস্তার তালিকায় প্রায় সব সময়ই থাকে ড্রাই ফ্রুটসের নাম। কাজুবাদাম, কাজু, কিসমিস, আলুবোখারা ছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের ড্রাই ফ্রুটস পাওয়া যায় দোকানে। ড্রাই ফ্রুটস আসলে তাজা ফলকে শুকিয়ে প্রস্তুত করা হয়। ফলকে সূর্যের তাপে শুকানো হয় অথবা প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুকানো হয়। ফলের ভেতরের পানি সম্পূর্ণ শুকিয়ে নেওয়ার কারণে তা অনেক দিন পর্যন্ত স্টোর করা সম্ভব। যেকোনো সময়ের নাস্তার জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত এই ড্রাই ফ্রুটস।
মিক্সড ড্রাই ফুডস কি দিয়ে তৈরী হয় এবং এর উপকারীতা কি জেনে নেই।
আমরা অনেকেই এই মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস এর নাম শুনেছি। এ খাবার আমাদর দৈহিক জীবনে অনেক উপকার করে থাকে। কি দিয়ে তৈরী করা হয় এই মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস এবং এর উপকারীতা কি জেনে নেই।
মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস এর উপকারীতাঃ-
★ এ খাবার মানব শরীরে শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে থাকে।
★ মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস মস্তিস্ক ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।
★ এ খাবার যৌন সমস্যা সমাধান করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে।
★ দাম্পত্য জীবনে স্বামী স্ত্রী বিশেষ মুহূর্তে স্হায়ীত্ব বৃদ্ধি করে থাকে।
★মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস নিয়মিত খেলে শুকরানু বৃদ্ধি করে থাকে।
★ বাচ্চা না হওয়ার অন্যতম কারন হলো পাতলা বীর্য, আর এই পাতলা বীর্যের কারনে বাচ্চা ধারন ক্ষমতা কমে যায়, যার ফলে গর্ভপাত হয়ে থাকে। মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস নিয়মিত খেলে বীর্য ঘন করে।
ছেলেদের চুলপড়ার কারণ ও করণীয়
★ মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ করে।
★মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস খেলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে।
★ এ খাবারে চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
★ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
★ এ খাবারটি মানব শরীরের অতিরিক্ত চর্বি গলিয়ে দ্যায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
★ এ খাবারের ফলে দাঁতের রোগ ও লিভারের সমস্যার উপকার করে থাকে, স্মৃতিশক্তি প্রখর করে, চোখের ছানি ও অন্যান্য চোখের সমস্যা দূর করে, হজমশক্তি বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে, রক্তশূন্যতা দূর করে।
শুধু নাস্তা হিসেবেই নয় বরং ড্রাই ফ্রুটস শরীরের জন্য অনেক ফলপ্রসূ। নানাভাবে শরীরের উপকার করে থাকে।
- অনেক ভিটামিনের সমাহার হওয়ায় এক সাথে অনেক ভিটামিন শরীরে প্রবেশ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- ওজন কমাতে সাহায্য করে, তবে প্রয়োজনের বেশি খেলে ডায়াবেটিস হবার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রয়োজনের অধিক খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- ক্ষুধা নিবারণ করে পেটকে শান্ত রাখে।
- ড্রাই ফ্রুটসে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-এজিং উপাদান থাকে, যার ফলে চেহারা থাকে তারুণ্যে ভরা।
- এতে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
- দাঁত, হাড় ও চোখের জন্য উপকারী।
- শরীরের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে।
- বিষণ্ণতা দূর করে মন ভালো রাখে।
ড্রাই মিক্সফুডের উপাদানের গুনাগুন:
১। কাঠবাদাম: কাঠবাদামে আছে অত্যাবশ্যক ফ্যাটি এসিড, ফাইবার এবং প্রোটিন। ব্রণ প্রতিহত করার জন্য কাঠবাদাম অত্যন্ত কার্যকর। এটি রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিকারী এবং রক্ত প্রবাহ বাড়াতেও পারদর্শী। এছাড়াও কাঠবাদাম রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর পাশাপাশি শরীরে লাং এবং স্তন ক্যান্সার সৃষ্টি হতে বাধা দেয়।
২. কিসমিস: কিসমিস দাঁতের ক্ষয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং ক্যাভিটিস দূরে রাখে। এই ফুড ভিটামিন এ-এর উৎকৃষ্ট উৎস এবং এরা দৃষ্টি সংক্রান্ত সমস্যা থেকেও আপনার চোখ রক্ষা করে। কিসমিসে থাকা রেসভেরাট্রোল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক দ্রুত বুড়িয়ে হয়ে যাওয়ার গতিকে ধীর করে দেয়। কিসমিসে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ও আয়রনে ভরপুর। যারা রক্তাল্পতায় ভুগছেন তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী খাদ্য এটি।
৩. আখরোট: আখরোট বাদাম এটি ফাইবার , আন্টিঅক্সিডেন্ট ,ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ একটি পুষ্টিকর খাবার । অনেক ধরনের বাদাম থাকলেও সবচেয়ে উপকারী বাদাম হলো ‘আখরোট’। বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হলে বা অ্যালঝাইমার্স ডিজিজের সঙ্গে লড়তে চাইলে ওষুধপত্রের সঙ্গে পাতে রাখুন আখরোট। এই ফল স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ কার্যকরী। রাইবোফ্লোভিন ও এল-কারনাইটিন থাকার কারণে মস্তিষ্কে স্নায়ুর কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে আখরোট। ‘বায়োলজি অব রিপ্রোডাকশন’-এর জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের দাবি, প্রতি দিন যদি অন্তত ৭৫ গ্রাম করে আখরোট খাওয়া যায় তবে পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা কমে। কারণ আখরোট বাড়িয়ে দেবে স্পার্ম কাউন্ট বা শুক্রাণুর সংখ্যা।
৪. কাজুবাদাম: কাজুবাদাম ভিটামিন ই-এর সমৃদ্ধ উৎস। এটি নিয়মিত খেলে ত্বকের জন্য অ্যান্টি-এজিং উপাদান হিসেবে কাজ করবে। কাজু বাদাম কোলেস্টেরল, ব্লাড সুগার, মাইগ্রেন এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
৫. পেস্তা বাদাম: পেস্তা বাদাম সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি, অকাল বার্ধক্য এবং ত্বকের ক্যান্সার রোধে কাজ করে। এছাড়া রক্তের শর্করা কমানো, হজমে সাহায্য, হার্টের রোগ প্রতিরোধ ও শরীরে ফাইবার ও প্রোটিন সরবরাহ করে এটি।
৬. খেজুর: খেজুরে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা একাধিক রোগকে দূরে রাখার পাশাপাশি শরীরের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ডায়াটারি ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে নিয়মিত খেজুর খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত পটাশিয়াম আরও সব হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমায়। খেজুরে উপস্থিত খনিজ এবং ভিটামিন হাড় শক্ত করে, ফলে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
৭। কুমড়ার বীজে ভারতের ডি কে পাবলিশিং হাউসের একটি বই ‘হিলিং ফুডস’-এ বলা হয়েছে, কুমড়ার বিচি (বীজ) ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম, লোহা ও প্রোটিনের ভালো একটি উৎস। বিচিগুলোতে অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড উচ্চমাত্রায় রয়েছে। এই ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।ওজন কমানো, চুলের বৃদ্ধিসহ কুমড়োর বিচির উপকারিতাগুলো ‘হৃদ্যন্ত্র’ ভালো রাখে,কুমড়োর বিচিতে আছে সেরোটোনিন। স্নায়ু নিয়ন্ত্রক এই রাসায়নিক বস্তুকে প্রকৃতির ঘুমের বড়ি বলা হয়। ট্রাইপটোফ্যান নামের অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরে গিয়ে সেরোটোনিনে রূপান্তরিত হয়, যা ঘুম নিশ্চিত করে। ঘুমানোর আগে মুঠভর্তি কুমড়োর বিচি এনে দেবে পুরো রাত্রির শান্তি।জ্বালাপোড়ার অনুভূতি কমায় পেশির জ্বালাপোড়ার অনুভূতি কমানোর ক্ষমতা আছে কুমড়োর বিচির। এ ছাড়া বাতের ব্যথাও কমায় এটি। অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে এর তেলও ভালো কাজে দেয়।ভালো রাখে প্রোস্টেট ।কুমড়োর বিচিতে আছে জিংক। যা পুরুষের উর্বরতা বাড়ায় ও প্রোস্টেটের সমস্যা প্রতিরোধ করে। এতে আছে ডিএইচইএ (ডাই-হাইড্রো এপি-অ্যান্ড্রোস্টেনেডিয়ন), যা প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।দীর্ঘ চুলের নিশ্চয়তা এতে আছে কিউকুরবিটিন, এমন এক অ্যামিনো অ্যাসিড যা চুলের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া ভিটামিন সিও আছে কুমড়োর বিচিতে, যা চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। ওমেগা-৩ পুষ্টিগুণ থাকায় আপনার দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে।
৮। তরমুজ বীজ তরমুজের বীজে রয়েছে শর্করা, অ্যামিনো অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড খাদ্যআশঁসহ গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনস্ ও মিনারেলস্। যেমন: আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিংক, ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাংগানিজ, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন-বি৬ ইত্যাদি। তরমুজের বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা উন্নত করে,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়,হার্ট সুস্থ রাখে,ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে,জন্ডিস সারায় তরমুজের বীজ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করে, পাচক স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে, মাথার চুল শক্তিশালী করে, ত্বক পরিষ্কার রাখে এবং উন্নত করে এবং চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। এছাড়াও কিডনি ও প্রস্রাবের সমস্যা সমাধানে অনেক উপকারী উপাদান এটি।
৯। খুরমা চূর্ণ খুরমা অতি মিষ্টিজাত ফল। এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালোরি এবং রয়েছে প্রচুর খাদ্যগুণ, যেমন ভিটামিন-বি,-সি, আয়রন এবং প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম, অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন-কে।খুরমা চূর্ণ শারীরিক শক্তিবৃদ্ধি, মনের প্রফুল্লতা ,কোষ্ঠকাঠিন্য, অরুচি, দৃষ্টিশক্তি ,হজমকারক,কোলেস্টোরল, রোগ প্রতিরোধক, রক্তশূণ্যতা ও বার্ধক্যরোধক । খুরমা সেবনে যৌবন বা তারুণ্য ধরে রাখে এবং যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি ও ঘনত্ব বাড়ায়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ যে খাবারগুলো বেশি করে খেতে হবে, সেগুলোর মধ্যে কাঠবাদাম, চিনাবাদাম, পেস্তাবাদাম, বাদাম তেল, বিভিন্ন বীজের বিচি অন্যতম।
মিক্স ড্রাইফুড এর মূল্য কত এবং কোথায় পাাবেন?
মূল্য : ৯০০ টাকা কেজি।
নওগাঁ সদরে ফ্রি হোম ডেলিভারী দেওয়া হয়: সহায়ক মুুঠোফোন: ০১৮৫৮-৪৫৪৬০৩
দেশের অন্যান্য জেলাতে কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হয়। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানোর নিয়ম:
১ম ধাপ:
৫০% মূল্য মোবাইল ব্যাংকিং “রকেট/ রকেট এর বিল পে সিস্টেম ২৪১ বিলার আইডিতে/বিকাশ” এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।
পরিশোধের নিয়ম:১। বিল পে সিস্টেম: *322# লিখে যে সিমে রকেট একাউন্ট আছে সেই সিম থেকে ডায়াল করুন। এবার ১ লিখেSend করুন। আবার ১ লিখে Send করুন। এবার ০ লিখে Send করুন। Enter Biller ID এর ঘরে 241 লিখে Send করুন। এবার Enter Bill Number এর ঘরে 2 এবং আপনার মোবাইল নং লিখে Send করুন (যেমন-২০১৭৭৯২৯৩৫৩৭)। এবার Enter Amount এর ঘরে 900/450 লিখে Send করুন। এবার আপনার রকেট একাউন্টের পিন নং লিখে Send করুন
২. রকেট (পারসোনাল): ০১৬১৮-৩৫২৩০১১
৩. বিকাশ (পারসোনাল): ০১৭৭৯-২৯৩৬৩৭
২য় ধাপ:
কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আপনার এলাকায় পণ্য পৌঁছানোর পর অবশিষ্ট টাকা প্রদান করে আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে।